প্রতিটি মানুষের জীবনে প্রেম আসে৷ জীবনে কখনও প্রেমে পড়েননি, এমন মানুষ মেলা ভার৷ কিন্তু, সেই প্রেম কী আর জীবনভর স্থায়ী হয়! বরং আজকের এই ব্যস্ত সময়ে প্রতিনিয়তই চলে ভাঙা-গড়ার খেলা৷ প্রেম-বিরহের খেলায় মেতে ওঠেন অপ্রাপ্তবয়স্ক, বিবাহিত, এমনকী ডির্ভোসিরাও৷ আবার প্রেমে আঘাত পেয়ে আত্মহত্যার পথও বেছে নিচ্ছেন অনেকে৷ মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা অন্তত তেমনটাই বলছেন৷
বারবার প্রেমে পড়া খারাপ নয়৷ কিন্তু, কার প্রেমে পড়ছেন? সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যাঁরা চরিত্রগতভাবে আবেগপ্রবণ মানুষ৷ কল্পনার জগতে থাকতে ভালবাসেন৷ তাঁরাই ঘন ঘন প্রেমে পড়েন৷ আবার টিভি সিরিয়ালে পরকীয়া প্রেম কিংবা একই ব্যক্তির একাধিক বিয়ে দেখেও অনেকে হুটহাট প্রেমে পড়ে যান৷
আর সেই প্রেম এতটাই দুর্বার হয়ে ওঠে, পছন্দের মানুষটির যোগ্যতা যাচাই করার অবকাশও মেলে না৷ ফলে স্বপ্নভঙ্গের আশঙ্কাও থাকে ষোলোআনা৷ ট্রেন্ড অবশ্য বলছে, একজনের সঙ্গে জীবনভর ভালবাসার সম্পর্কে জড়িয়ে থাকাটাই একেবারেই নাপসন্দ আধুনিক তরুণ-তরুণীদের৷ জীবনে সবসময়ই বৈচিত্র্য খুঁজতে ভালবাসেন তাঁরা৷ তাই মোবাইলের বদলের মতোই বদলে ফেলেন মুঠোয় ধরা সঙ্গীর হাতটিও।
আরও পড়ুন: ভুল করেও যাদের সঙ্গী বানাবেন না!
কিন্তু, শুধুই কী বৈচিত্র্যের টানেই ঘন ঘন সঙ্গীবদল? সমীক্ষা চালিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কেরিয়ারের প্রতিযোগিতা যত বাড়ছে, মানুষ তত বেশি একা হয়ে পড়ছে৷ বাড়ছে প্রেমের করার প্রবণতাও৷ এক্ষেত্রে শরীরও একটি বড় ফ্যাক্টর বলে মনে করছেন কেউ কেউ৷
তাঁদের মতে, যাঁরা শরীরের উত্তাপ পাওয়ার আশা প্রেমে ডুব দেন, চাহিদা পূরণ না হলে ফের নতুন প্রেমিক বা প্রেমিকার সন্ধান করতে দু’বার ভাবেন না তাঁরা৷ আবার যাঁরা নাগরিক জীবনের যন্ত্রণা নিয়ে গবেষণা করেন, তাঁদের মতে, অনেকের কাছে প্রেমটা নিছকই জীবনের স্বাদ বদলের একটি উপায়৷
সেইসব বেপরোয়া প্রেমিকা বা প্রেমিকার সাফ কথা, ‘প্রতিদিন বিরিয়ানি খাওয়ার পর স্বাদ বদলাতে ফেনা ভাতই অমৃত।’ তাই প্রেম ভেঙে গেলেও বিশেষ কাতর হন না তাঁরা৷ সোজা কথায়, ব্যস্ত জীবনে বদলে যাচ্ছে প্রেমও।